ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে গত দুই দিন ধরে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলগামী লাখো মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। যানবাহনের চাপ বাড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এই রুট ব্যবহার করা লাখ লাখ মানুষ।
দৌলতদিয়া ঘাটে গত দুইদিন ধরে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ছে হাজার হাজার যানবাহন। রোববার সকালেও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ পৌর জামতলা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পরে সহস্রাধিক যানবাহন।
প্রচন্ড গরমে ভোগান্তিতে পরে যাত্রীরা। ঈদ আনন্দ করতে বাড়ি আসা মানুষেরা ঈদ শেষে মুখে মলিনতা নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরছেন। গাড়ীতে ৭-৮ ঘন্টা বসে থেকে কোন উপায় না দেখে ব্যাগ ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে পায়ে হেঁটেই ফেরি ঘাটে রওনা দিয়েছেন অনেকে। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড় থেকে ৩ শতাধিক পন্যবাহি ট্রাক সিরিয়ালে আটকে রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, শিমুলিয়া- মাঝিরকান্দি নৌরুটে নিরাপত্তার স্বার্থে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ওই নৌরুটে যানবাহনগুলো এ নৌরুটে আসায় এবং ছুটি শেষ হওয়ার কারণে ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘাট এলাকার পরিবেশ ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ও ২৫ জন নৌপুলিশের সদস্য ঘাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক (বানিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের ছুটি শেষে যাত্রী ও যানবাহন আসছে স্রোতের মত। যানজট থেকে যাত্রি দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ছোট প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহি বাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।